শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় দুস্থ্য ও অতিদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ১৫ টাকা কেজি মূল্যের চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ডিলারের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের বিনাপানি বাজারের ডিলার মো. কামাল হোসেন তালুকদারের দোকান থেকে এ চাল বিক্রি করেন এ সময় সুবিধাভোগীরা ওজনে কম দেখেন। বিষয়টি কয়েকজনের সন্দেহ হলে একটি দোকানে নিয়ে পরিমাপ করে দেখেন ৩০ কেজির স্থলে তাদের দেওয়া হচ্ছে ২৭ কেজি করে। জনপ্রতি ৩/৪ কেজি চাল কম দিচ্ছেন ডিলার। ভুক্তভোগীরা বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপনকে জানালে, তিনি সেখানে উপস্থিত হন। পরে তার হস্তক্ষেপে সঠিক পরিমাপে দরিদ্র মানুষজন চাল ক্রয় করেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সুত্রে জানাযায়, খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৪ হাজার ১শ ৯৫ জনকে ৩০ কেজি হারে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। নভেম্বর মাসে মোট ১শ ২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। উপজেলায় ৬ ইউনিয়নে মোট ৯জন ডিলারের মাধ্যমে ১৫ টাকা কেজি ধরে কার্ডধারীদের মাঝে এসব চাল বিক্রি করা হচ্ছে।
সুবিধাভোগী শাহআলম খান, রুবি বেগম, পরিমল চন্দ্র ও অনিতা রানীসহ বেশ কয়েকজন জানান, চাল ক্রয়ের পর তাদের সন্দেহ হয়। পরে ওই বাজারের মনির হোসেন হাওলাদারের মুদি দোকানের ডিজিটাল পাল্লায় পরিমাপ করে দেখেন চাল কম।
শুধু ওই ডিলারের নয়, মাপে কম দেওয়ার অভিযোগ পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের ডিলার কামাল হোসেন জমাদ্দারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ওজনে কারসাজি করে অতিদরিদ্রদের চাল কম দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এসব ডিলারদের।
অভিযোগ অস্বীকার করে, ডিলার মো. কামাল হোসেন তালুকদার জানান, আমি সঠিক ভাবে ওজন করে চাল বিক্রি করেছি। বাহিরে গিয়ে ওজনে কম দেওয়ার কথা বলছে ক্রেতারা।
পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের ডিলার কামাল হোসেন জমাদ্দার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
শৌলজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ হোসেন রিপন বলেন, ওখানে তেমন কিছু হয়নি। শুধু একটা ভূল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমি সাথে সাথে চলে গেছি এবং দেখেছি। পরে সুষ্ঠু ও নিয়ম অনুসারে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (পরিদর্শক) শ্যামলাল জানান, সরকার বছরে ৫ মাস খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় চাল বিতরণ করা হচ্ছে। শৌলজালিয়া ইউনিয়নে চাল বিক্রি কাজের তদারকির দায়িত্বে উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. সোলায়মান। তারপরও খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিতরণের ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. সোলায়মান জানান, তিনি পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন। পরীক্ষা শেষে দেড়টার দিকে তদারকির কাজে আসছেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী একটি গুরুত্বপুর্ন কর্মসূচি। এখানে কোন ধরনের অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। অভিযুক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।